প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বা ৬.৬ কোটি বছর পূর্বেকার কোনো এক সকাল বেলা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই “সেন্ট্রাল মেক্সিকো”-র সমতল ভূমিতে খাদ্যের সন্ধানে জড়ো হয় শত শত বিশালাকার অ্যালামোসোরাস। এদিকে ঠিক সেসময়ই উত্তর আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে খাদ্যের সন্ধানে একটা টিরেক্সের বাসার উপরের আকাশে বিশাল বিশাল ডানা মেলে চক্কর দিচ্ছে ক্যাটজাল্কোঅ্যাটলাস। গত রাতেই বেশ ক’পশলা ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বনভূমিটা আরো সজীব হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু সময় আগেই খাদ্যের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েছে মা টিরেক্স। এ সুযোগে টিরেক্সের বাসায় হানা দেয় ক্যাটজাল্কোঅ্যাটলাস। ছোট ছোট টিরেক্সের ছানাগুলোকে ধরে একের পর এক গিলতে থাকে সে।


এদিকে, মা টিরেক্সটা ঠিক যখনই এঙ্কিলোসোরাসটাকে মাটিতে ফেলে থাবা বসাতে যাবে ঠিক তখনই অন্য একটা থেরোপড এসে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয়। ব্যাপারটা নিয়ে তুমুল ঝগড়া বেঁধে যায় তাদের মাঝে, একপর্যায়ে মা টিরেক্স ওই থেরোপডকে যুদ্ধে হারিয়ে এঙ্কিলোসোরাসের মৃতদেহটা মুখে করে তার বাসার দিকে পা বাড়ায়। বাচ্চারা আজ বেশ ভালোভাবেই সকালের খাবারটা সেরে নিবে!
.
ঠিক সেসময়টাতেই, এখান থেকে ১২ হাজার কি.মি. দূরে অবস্থিত মঙ্গোলিয়ার ছোট ছোট পানির উৎসগুলোর আশপাশে চড়ে বেড়াচ্ছে তৃণভোজী ক্যারানোসোরাসেরা….তাদের উপর সরু দৃষ্টি রাখছে ছোট ছোট মাংসাশী অর্ণিথইডিসের পাল। কোনো ক্যারানোসোরাস দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে তার উপর!
. 👇👇👇
পুরো ব্যাপারটা কল্পনা হলেও ঠিক এভাবেই হয়ত শুরু হত ডাইনোসরদের বিবর্তনের শেষ পর্ব ক্রিটেশিয়াস যুগের একটা সাধারণ সকাল। কিন্তু এই সাধারণ সকালটাই কিছুক্ষণের মধ্যে আর সাধারণ থাকবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে একটা গোটা জীবগোষ্ঠী!
.
তো,প্রায় ৬.৬ কোটি বছর আগে ক্রিটেশিয়াস-প্যালিওসিন যুগে এসে কোনো একদিন এমন একটা ঘটনা ঘটে যাতে পাল্টে যায় পুরো পৃথিবীর প্রাণের বিকাশের ধারা, বিলুপ্ত হয়ে যায় শত কোটি বছর ধরে পৃথিবী রাজত্ব করা ডাইনোসরেরা। ঠিক কিভাবে ঘটে এই ব্যাপারটা?
.
ঘটনার সূত্রপাত হয় আরো প্রায় ১০ কোটি বছর পূর্বে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১৬ কোটি বছর আগে। পৃথিবী থেকে প্রায় ২০ কোটি মাইল দূরে মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝে বিরাট একটা “এস্টেরয়েড বেল্ট” আছে। তো,এই এস্টরয়েড বেল্টে প্রায় শত কোটি গ্রহাণু আছে যেগুলো একই পথে পরিভ্রমণ করে চলেছে। কোথাও কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা নেই। তো, ১৬ কোটি বছর আগে কোনো একটা সময় ক্ষুদ্র আকারের একটা গ্রহাণু এই এস্টরয়েড বেল্টে উল্টো দিক হতে ঢুকে পড়ে প্রায় ২২ হাজার কি.মি. গতিবেগ নিয়ে আরেকটা বড় গ্রহাণুকে আঘাত করে। মুহূর্তের মাঝেই অসংখ্য ছোট বড় খন্ডে বিভক্ত হয়ে গেল গ্রহাণু দুটো,অনেকটা দুটো পাথর আঘাত করলে যেমনটা হয়!
.

গবেষনা করে বিজ্ঞানীরা বলেন যে,এগুলোর মধ্যে ২৪ কি.মি. দৈর্ঘ্য আর ১০ কি.মি. পরিধির একটা ছোট পিন্ড বেশ কিছু সময় এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে আরো প্রায় ১০ কোটি বছর পরে সেটা একটা সুনির্দিষ্ট পথে যাত্রা শুরু করে। আর এই সুনির্দিষ্ট যাত্রাটা ছিল একেবারে পৃথিবী অভিমুখে। তবে এই ভয়ংকর ব্যাপারটার মুখোমুখি সেদিন শুধু একা পৃথিবীই হয় নি, বরং পৃথিবী থেকে ৩,৮৪,৪০০ কি.মি. দূরে অবস্থিত চাঁদও এই ভয়ংকর ব্যাপারটার মুখে পড়েছিল। অতীতে বহুবারই এমন অনেক ব্যাপার চাঁদ সামাল দিয়ে বাঁচিয়েছিল পৃথিবীকে।
.
কিন্তু,এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি! দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেদিন সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় এসে উপস্থিত হতে পারেনি সে, চাঁদকে পাশ কাটিয়েই ওই ক্ষুদ্র গ্রহাণু পিন্ডটি সোজা ঢুকে পড়ে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলয়ের পরিসীমায়। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে প্রতি ঘন্টায় এর গতি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল প্রায় ৬৪ হাজার কি.মি.! ভর-বেগ এক হয়ে প্রচন্ড শক্তি নিয়ে এই গ্রহাণুটা এগিয়ে চলল পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে!
.
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সাথে ক্রমাগত ঘর্ষণের ফলে জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হল ওটা। ফলে এই অগ্নিপিণ্ডের তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ালো প্রায় ৩৫ হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস ! আর জ্বলতে লাগলো সূর্যের চেয়েও বেশি উজ্জ্বলতা নিয়ে। পৃথিবীর সাথে প্রায় ৩০ ডিগ্রী কোণ করে উত্তর-পশ্চিম বরাবর প্রায় ১০০ মিলিয়ন মেগাটন শক্তি নিয়ে গাল্ফ অফ মেক্সিকোতে আছড়ে পড়লো এই বিশাল অগ্নিকুণ্ডটা….উৎপন্ন করল প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন টন বিষাক্ত টিএনটি। মুহূর্তের মাঝেই বাষ্প হয়ে মিলিয়ে গেল সাগরের পানি। আর, হাজার মাইল বেগে ওই গ্রহাণু পিন্ড আর ভুপৃষ্ঠের অংশ খন্ড বিখন্ডিত হয়ে উর্ধ্বাকাশের দিকে উড়ে গেল। যেগুলোর কোনো কোনোটার আয়তন আজকের দিনের বড় বড় বিল্ডংয়ের চাইতেও বিশাল ছিল!
.
এর ফলে পৃথিবীর ভূত্বকে মারাত্মক ইমপ্যাক্ট পড়ে। গ্রহাণু পিন্ডটা ঠিক যেখানে আঘাত করে ঠিক সেখানেই প্রায় কয়েক মাইল গভীর আর ১১৫ মাইল ব্যাপী দীর্ঘ একটা গর্তের সৃষ্টি হয়। আশপাশের বিশাল আয়তনের পাথর খন্ডগুলো একে একে মুহূর্তের মাঝেই গলে যেতে থাকে। এই অগ্নিপিণ্ডের পতনের ফলে অনেকটা চেইন রিএকশনের মত বেশ ক’টা গ্লোবাল ক্যাটাস্ট্রোফের সৃষ্টি হয় যার কারণে পৃথিবীর প্রায় ৮০ শতাংশ জীবগোষ্ঠীই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
.
আঘাতস্থলের 500 মাইল দূরে যেখানে বিশালাকৃতির অ্যালামোসরাসের পাল চড়ে বেড়াচ্ছিল প্রায় ১মিনিট ৮সেকেন্ডের মধ্যেই সেখানে বাতাসের তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছাল ৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট! খোলা প্রান্তরে চড়ে বেড়ানো শত শত ডাইনোসর সাথে অন্যান্য প্রাণীরা তাতে জ্বলে পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেল। ভস্মীভূত হয়ে গেল প্রতিটা গাছ, বনজঙ্গল….
.
প্রায় ১মিনিট ৪০ সেকেন্ডের মাথায় এই সংঘর্ষের উজ্জ্বলতা পৌঁছে গেল প্রায় ৩০০০ মাইল দূরে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে উত্তর আমেরিকার উঁচু পাহাড়ে বাসা বানানো ক্যাটজাল্কোআটলাসদের চোখে।
.
এদিকে বড় বড় পাহাড়ের আড়ালে থাকা অসংখ্য অ্যালামোসোরাস রক্ষা পেল শুরুর সেই ভয়ংকর দুর্যোগের হাত থেকে, কিন্তু তাতে তাদের শেষ রক্ষা হলো না। এর পরপরই আরো প্রায় তিন তিনটে ভয়ংকর দুর্যোগ তাদের দিকে ধেয়ে আসতে থাকল।
.
প্রথমেই ধেয়ে এলো শূন্যে উড়ে যাওয়া সেসব বড় বড় পাথর খন্ডগুলো। মুহূর্তের মধ্যেই বিশাল বিশাল সব পাথরখন্ডগুলো প্রচন্ড বেগ নিয়ে নেমে আসতে লাগলো তাদের উপর। অনেকটা পাথরবৃষ্টির মত! আর তাতেই মাটিতে একের পর এক লুটিয়ে পড়তে লাগলো ৩০,৪০ টন ওজনের অ্যালামোসোরাস।
.
দ্বিতীয় আঘাতটা এল মাটির নিচ থেকে। রিখটার স্কেলে প্রায় ১১.১ মাত্রার মারাত্মক শক্তিশালী ভূমিকম্পে আবারো মারা পড়ল তারা, এবার আরো ব্যাপক হারে।
.
পরবর্তী আঘাতটা আসলো ৪৫ মিনিটের মাথায়, ৬০০ মাইল বেগের বাতাস সাথে প্রায় ১০৫ ডেসিবেল মাত্রার শক ওয়েভের সাথে। সব ডাইনোসরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির এ তরঙ্গ কেন্দ্রের চারদিকে বৃত্তাকারে অগ্রসর হতে থাকল আর তাতে একে একে প্রাণ হারাতে লাগল সব ডাইনোসরেরা।
…..
তো ঘটনার মাত্র সাড়ে ৫ মিনিটের মাথায় উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অ্যালামোসোরাস সহ অন্যান্য সব ডাইনোসর প্রজাতি একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গেল।
.
এই ঘটনার প্রায় ৭ মিনিটের মাথায় ওই সংঘর্ষস্থানে প্রায় ১০০ মাইল উঁচু একটা অগ্নি বলয়ের সৃষ্টি হয় আর তার সাথে সৃষ্টি হয় ৭০ বিলিয়ন টন পাথর, কাঁচ আর চার্জিত কণা নিয়ে “এজেক্টা মেঘ”! বাতাসের সাথে এসব কণার ক্রমাগত ঘর্ষণের ফলে মেঘের তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৫ হাজার ডিগ্রী ফারেনহাইট।
.
প্রায় ১৬ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের মাথায় ১১.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটা এবার আঘাত হানল উত্তর পশ্চিম আমেরিকায়। তাতে কাছাকাছি থাকা বেশিরভাগ টিরেক্স, ট্রাইসেরাটপস আর অন্যান্য বিশাল ডাইনোসরেরা মারা পড়তে লাগল। ঘটনার আকস্মিকতায় দূরে থাকা ডাইনোসর গুলো কিছু বুঝে উঠতে না পেরে দিগ্বিদিক ছুটতে লাগল। কিন্তু, ক’মিনিটের মাথায় ১৫ হাজার ডিগ্রী ফারেনহাইটের “এজেক্টা মেঘ” এসে তাদের ঢেকে ফেলল,আর তাতেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিশালকার সব ডাইনোসর। এদিকে ডানা মেলে পালিয়ে যাবার সময় উপর হতে বৃষ্টির মত আগুন,পাথর বর্ষণে একে একে মারা পড়তে লাগল। খুবই অল্পসংখ্যক যেগুলো বেঁচে গিয়েছিল সেগুলো দূরের দ্বীপগুলোতে আশ্রয় নেয়।
.
এই এজেক্টা মেঘের প্রকোপ শেষ হয়নি তখনো। ওই গ্রহাণু পিণ্ডটা পৃথিবীর বুকে আঘাত হানার প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে এই এজেক্টা মেঘ উপস্থিত হল ১২ হাজার কি.মি দূরে অবস্থিত ডাইনোসরদের আরেক বিশাল আবাসস্থল বর্তমান চীন আর মঙ্গোলিয়ায়। সেকেন্ডের সাথে তাপমাত্রা তখন আস্তে আস্তেই কমতে লাগল, শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ডিগ্রীতে পৌছে গিয়েছিল তাপমাত্রা। কিন্তু তার আগেই যা করার করে ফেলেছিল এজেক্টা মেঘ। মারা গেল ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ ডাইনোসরেরা।
.
এদিকে উত্তর আমেরিকায় এ প্রলয় এড়িয়ে যাওয়া কিছু কিছু ট্রাইসেরাটপস,ক্যাটজাল্কোঅ্যাটলাস আর অন্যান্য তৃণভোজী ডাইনোসরেরা খাদ্য আর পানির খোঁজে পাড়ি জমাল প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলের দিকে। কিন্তু, সেখানে গিয়ে দেখতে পেল সবুজ বলতে আর কোনো কিছুই সেখানে অবশিষ্ট রইল না। পড়ে থাকা কিছু মৃতদেহ টিরেক্সের খাদ্যের যোগান দিল, কিন্তু পরবর্তীতে খাদ্যের অভাবে এই ক্যানিবালরা ট্রাইসেরাটপস সহ অন্যান্য তৃণভোজীদের নিজেদের খাদ্য বানিয়ে ফেলল!
.
প্রায় ১ সপ্তাহের মাথায় মেক্সিকোর সমুদ্রের তলদেশের একস্থান অনেকখানিই দেবে গেল। আর তাতেই প্রায় ৩০০ মিটার উঁচু সুনামি আঘাত হানে উপকূলে আশ্রয় নেওয়া সেসব ডাইনোসরদের উপর। আর তাতে মারা পড়ে অবশিষ্ট ডাইনোসরেরা।
.
কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি প্রকৃতি। একের পর এক আগ্নেয়গিরিতে বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল বাতাস। ভয়ংকর মরু ঝড়ে মঙ্গোলিয়ার অবশিষ্ট ডাইনোসরেরাও মারা পড়ল। পানির সাথে বুদবুদ আকারে উঠতে লাগল বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস। ফলে পানির অভাবে মারা পড়তে লাগলো তারা।
.
আমেরিকার লুনার ও প্লেনেটারি ইন্সটিটিউটের ভূতত্ত্ববিদ ডেভিড ক্রিঞ্জের মতে, কার্বন ফুটপ্রিন্ট বিশ্লেষণ করে জানা যায় যে,সেসময় আগ্নেয়গিরির বিষ্ফোরণে প্রায় ১০০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড,কার্বন মনোক্সাইড আর মিথেন উৎপন্ন হয়েছিলো, যার ফলেই মূলত ডাইনোসরদের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছিল। তিনি মনে করেন, মূলত এসব ঘটনার লং টার্ম ইফেক্টের কারণেই আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে গিয়েছিল প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি বছর ধরে পৃথিবী রাজত্ব করা ডাইনোসর।
.
কিন্তু এত এত বিশাল দুর্যোগের পরেও পৃথিবীর বুকে প্রাণের অস্তিত্ব পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়নি। অসংখ্য ছোট ছোট প্রাণী, পোকামাকড় বেঁচে গিয়েছিল। এরই মাঝে ছিল,মাত্র একদিনেই বংশবিস্তার করতে পারা মারসুপিয়ালস জাতীয় কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণি। বলা হয়ে থাকে এদের বিবর্তনের মধ্য দিয়েই পরবর্তীতে পৃথিবীতে গড়ে উঠেছে এই বিশাল বৈচিত্র‍্যময় জীববিন্যাস।
….
তবে, এসবই বিজ্ঞানীদের এস্টিমেট, কোটি কোটি বছর আগে এ পৃথিবীতে আসলেই কি হয়েছিল, কিভাবে শত কোটি বছর পৃথিবী রাজত্ব করা এ দানব সদৃশ ডাইনোসরেরা বিলীন হয়ে গিয়েছিল তা খুঁজে পাওয়া অল্প কিছুসংখ্যক ফসিল বিশ্লেষণ করে জানতে পারা আসলেই দুরূহ ব্যাপার।
.
তবে, বিশাল কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগই যে তাদের বিলীন হয়ে যাওয়ার কারণ, তাতে সন্দেহ প্রকাশ করার কোনো অবকাশ নেই। তবে, শেষ দিনগুলোয় ডাইনোসরদের সাথে আদৌ কি হয়ছিলো,তা আজও মোটামুটি রহস্যই রয়ে গেছে….
……
[ Informations gathered from (websites): national geographic, discovery, hybrid knowledge, mysterious universe, Listverse, Live science ]