#কল্পবিজ্ঞান



"You've pretty much figured it all out by now, right? That there is no absolute justice in this world. The opposite of justice is... another justice. Choosing the past through Time Leaps is just choosing between these justices. Can you say that your justice is correct? - Makise Kurisu ( An anime character of Steins;Gate )
.
নিজ অস্তিত্বের টের পাচ্ছে নিনো। হারিয়ে যায় নি সে। কিছু একটার উপর পড়ে আছে তার দেহ। আস্তে আস্তে চোখ খুলে তার । শরীর খুব ভারী৷ নড়তে কষ্ট হচ্ছে তার। চারিদিক নিরব। পাশে কেউ আছে, অনুভব করে সে। একটু নড়ে তাকাতেই চোখে পড়ে একটি বৃদ্ধ মহিলা, তার পাশে বসা। একটু পড়ে সেই মেয়েটি যেন ছোট বাচ্চার মত হয়ে এল, অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে নিনো। ভূতে নিনো বিশ্বাসী নয়। তবে এই ভূতুরে কাণ্ড দেখে নিনোর মনে ভয় বাসা বাঁধছে। একটু পর এই ছোটো মেয়েটি তরুণী হয়ে ওঠে।  চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে নিনো। ছবির সেই আবছা পরিচিত মেয়েটি। নিনোর আর চিনতে দেরি হয় নি। এ হল বিজ্ঞান মহলের মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী, মিস জেনোবিয়া। আর নিনোর একমাত্র ভালোবাসার মানুষ। জেনোবিয়া নিনোর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দেয়। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে নিনো। জেনোবিয়া নিরবতা ভেঙে বলে ওঠে, "কেমন আছ নিনো?"
(নিনোর মাথা ভো ভো করছে। নিজের শরীরে তাকাতে দেখে তারও শরীর একবার পিচ্চি বাচ্চা'র মতো হচ্ছে, আবার বৃদ্ধও হচ্ছে। সব কিচ্ছু বিরক্তিকর লাগছে তার। সাথে ভয়ংকরও)
নিনো - জানি না।
জেনোবিয়া - হাহা। তোমার এরূপ উত্তর কখনোও যাবে কি?
নিনো - হয়তো। তোমার কি খবর?
জেনোবিয়া - তা দেখতেই পাচ্ছ। এতক্ষণ একা ছিলাম৷ তোমাকে দেখে ভালো লাগছে। তা তুমি এখানে যে? টাইম ট্রাভেল করেছ নাকি?
নিনো - (অবাক হয়ে) তুমি কি করে জানলে?
জেনোবিয়া - এখনো বুঝতে পারলেনা তুমি?
নিনো - তুমিও টাইম ট্রাভেল করেছ? কিন্তু আমি ছাড়া যে এই কাজ করা হচ্ছিল, তা তো জানা ছিল না।
জেনোবিয়া - হুম। ড. মরিসের কথা মনে আছে?
নিনো - হুম।
জেনোবিয়া - তুমি উনার ইনভাইট রিজেক্ট করার পর ২য় মোস্ট এক্সপেরিয়েন্স পারসন হিসেবে উনি আমাকে ইনভাইট করেন। আমার হাতে অন্য কোনো প্রজেক্ট না থাকায় ভাবলাম এটা নিই৷ সাকসেস এর রেট কম, তাও ভাবলাম যদি কোনোভাবে সাকসেস হয়ে তোমাকে ইম্প্রেস করা যায়৷
নিনো - কিন্তু প্রজেক্টটি তো ফেল হয়েছিল৷ নিউজে দেখেছিলাম।
জেনোবিয়া - হুম। তুমি রেলওয়ে লাইন থেকে ফেরার পর দেখেছিলে?
নিনো - হুম। কিন্তু কি ভাবে কি? আমি রেলওয়ে লাইন-এ ছিলাম তুমি কিকরে জান? সব খুলে বল৷
জেনোবিয়া - ড. মরিস পার্সোনাল কাজে ৬-৭ দিন ব্যাস্ত থাকবেন বলে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে চলে যান। এদিকে আমার ও টিমের অনেক কাজই শেষ হয়ে এসেছিল৷ কিন্তু,
নিনো - কিন্তু কি?
জেনোবিয়া - কিন্তু প্রজেক্ট চলাকালীন সময়ে তোমার মূত্যুর খবর আসে। ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে তুমি মারা যাও। খবরটা পাওয়া মাত্র আমার যেনো সব ভেংগে পড়ে। সেদিন রাতে অনেক কেদেছি, আমার জীবনে আমি এর আগে এভাবে কাদি নি। (বলতে বলতে চোখের পানি মুছছে জেনোবিয়া, নিনো নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর কথা গুলো শুনছে)

সারা রাত তোমার স্মৃতি গুলো চোখে ভাসছিল। এরপরের দিন আমার জন্মদিন ছিল, তোমাকে ছাড়া তা পালনের প্রশ্নই আসে না। তোমাকে ছাড়া আমাকে কল্পনা করা ছিল কষ্টের। তাই রাতে ডিসিশন নেই, টাইম ট্রাভেল করে ফিরিয়ে আনব তোমায়। না খেয়ে না ঘুমিয়ে টাইম মেশিন বানিয়েছিলাম। সব শেষে যখন ট্রাভেল সাকসেস হল, তোমার জন্য রেলওয়ে তে গেলাম। বিশ্বাস কর অনেক ডেকেছি তোমায়। কিন্তু একটুও শোনোনি আমায়। তোমার হাত ধরে রেলওয়ে থেকে সরাতে চেয়েছি৷ হাত আর ধরতে পারলাম না। যেন আমি থেকেও নেই। ভেবে ছিলাম তোমাকে আর বাঁচাতে পারব না।  পরে দেখি তুমি নিজেই রেললাইন থেকে নেমে গেলে৷ আর তার একটু পর একটা ট্রেন লাইন দিয়ে চলে গেল, আমি ঘড়িতে সময় দেখলাম। যে সময়ে মরে যাবার কথা ছিল তা অতিক্রম হয়ে গেছে৷ বুঝলাম আর কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমাকে ঠিক করার মত কেউ নেই৷ তাই এ জগতে আসার আস মুহূর্ত তোমার সাথে ছিলাম৷ তোমার সাথে অফিসে গেলাম। উল্কা দেখার সময় তোমার পাসেই শুয়েছিলাম। নিজেকে একা তুচ্ছ মনে হচ্ছিল।  এর পর সময়ের সাথে চলে এলাম এই অভিশপ্ত জগতে।
(কথা গুলো বলা শেষে এক দীর্ঘ  বেদনাময়ী হাসি দেয় জেনোবিয়া) 
মাথা নিচু করে আছে নিনো৷ তার চোখের এক কোণে পানি এসেছে৷ পানি মুছে জেনোবিয়ার দিকে তাকায় সে৷ সে জানতো আপন কাউকে হারিয়েছে সে। কিন্তু তার ভালোবাসার এই মানুষটাকে যে হারাবে কল্পনায় ও সে ভাবে নি। নিজের উপর ক্ষোভ আর লজ্জা হচ্ছে তার৷ সময় আসলেই অভিশপ্ত৷ জেনোবিয়ার দিকে তাকিয়ে নিনো বলে,  " আমি দুখিঃত। আমাকে ক্ষমা কর৷ "
জেনোবিয়া - হাহা, তুমি কেন সরি হবে৷ এতো তোমার দোষ নয়। হয়তো আংশিক দোষ তোমার৷ তবে যা হোক এখন তো আমার সাথে এখানে আছো, আর একা একা লাগছে না৷
নিনো - হুম

এই বলে উপরে তাকায় নিনো। তাকিয়ে তার চোখ ভরে যায়। আকাশের তারারা আলো ছড়াচ্ছে৷ এত তারা এক সাথে নিনো আগে দেখেনি। যেন আকাশের উপরের তল কেউ মুছে দিয়েছে৷ শত শত তারা যেন আকাশকে আলোকিত করে রেখেছে৷ যেন সৃষ্টিকর্তা আকাশে আঁধার দূর করবার জন্য আলোর প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে দিয়েছে।

এমন সময় জেনোবিয়া বলে ওঠে, " আচ্ছা আমার জন্মদিনে না তোমার সাথে নাচবার কথা ছিল। কিন্তু এর আগের দিন তুমি মারা দিয়েছিলে। "
নিনো- ইয়ে মানে, কই এমন কোনো কথাতো ছিল না।
জেনোবিয়া - লুকাবার চেষ্টা করিয়েন না বুঝলেন। ( এই বলে দারিয়ে যায় জেনোবিয়া তার পর নিনোকে টেনে তোলে) চল আজ এই গভীর রাতে শত তারার আলোতে দুজন প্রেমিক - প্রেমিকা তাদের ভালোবাসাময়ী নাচ করি।
নিনো - আমি পারিনা,  সত্যিই পারিনা।
জেনোবিয়া - শুধু তাল মেলাবা আমার সাথে।
এই বলে নাচ শুরু করে দেয় তারা। জেনোবিয়া গুনগুন করে গান গাইছে।

এসময় নিনো আকাশের উপরে তাকায়৷ কি যেন তার চোখে পরে,  একটা ঘড়ি, কিন্তু সেটা কোথায় যেন উড়ে যাচ্ছে৷ তারা একে ফলো করে। এটার পিছু ধাওয়া করতে করতে এটা এক জাগায় থেমে যায়৷ নিনো ও জেনোবিয়া আরও সামনে গিয়ে তারা দেখে অনেক গুলো ছোট ছোট ঘড়ি উড়ে বেড়াচ্ছে ঠিক পাখির মতন, দুপাশে দুটো ডানা আছে। তারা আরো সামনে গিয়ে দেখে, একটা বিশাল ঘড়ি। তার ঠিক উপরে কেউ এক জন বসা। অনেকটা মানুষ আকৃতির।
নিনো বলে ওঠে, " কে আপনি? "
উপর থেকে আওয়াজ আসে - "আমার জগতে এসে আমাকে প্রশ্ন কর আমি কে?" আমি ক্রোনাস, গড অফ টাইম। তোমরা এখানে কি? কেন এসেছ?
নিনো - আমরা টাইম ট্রাভেলে করেছিলাম।
ক্রোনাস - সময় নিয়ে খেলার সাহস কি করে হয় তোমাদের৷ এটা তোমাদের অভিশাপ। তোমাদের শাস্তি।
নিনো - আপনি যদি আসলেই গড অফ টাইম হয়ে থাকেন,  আমাদের দয়া করে ফেরত পাঠান। আমাদের ভুল হয়েছে।
ক্রোনাস - হুম। তবে শুধু একজনকে পাঠাব। কে যাবে নিজেরাই বেছে নাও।
জেনোবিয়া - নিনো তুমি চলে যাও আমি একা থাকতে পারব কোনো সমস্যা নেই।
নিনো - না, তুমি আমাকে একবার বাঁচিয়েছ, আমাকে এর প্রতিদান দিতে দাও। এই বলে নিনো গড অফ টাইম কে বলে,
ক্রোনাস, আমি থাকব তুমি জেনোবিয়াকে ফেরত পাঠাও।
ক্রোনাস - ঠিক আছে।
এই বলে জেনোবিয়ার ওপর একটা আলোকরশ্মি ফেলে৷
জেনোবিয়া- না, প্লিজ নিনোকে পাঠান।
ক্রোনাস - লাভ নেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷
জেনোবিয়া কাদছে।  ঠিক যেভাবে এখানে এসেছিল সেভাবে চলে যাচ্ছে সে। নিনোর দিকে তাকিয়ে কাদছে, নিনো তার দিকে তাকিয়ে একটা চওড়া হাসি দেয়।  তার চোখের সামনেই জেনোবিয়া চলে যায় আপন জগতে।  নিনো তার পর আকাশে তাকিয়ে সজোরে হাসতে থাকে৷
.
৩ মাস হয়ে গেল। ডেলিসা ও তার টিমের টাইম টেলিপোর্টেশন মেশিন বানানোর কাজ শেষ। এখন শুধু ট্রাভেলার কে ফিরিয়ে আনার পালা৷ ট্রাভেলারের ডি.এন.এ. টি ডিটেক্টরে দেয়৷ ডিটেক্টর অনেক্ষণ সার্চ করে। অনেক অপেক্ষার পর ডি.এন.এ. সার্চ ম্যাচ হয়। এখন শুধু মেশিন অন করবা বাকি৷ অন করা হল, সকলেই অপেক্ষ মান।  খুবই ভারী মেশিন, অনেক বিদ্যুৎ টানচ্ছে। ওপারে নিনো জেনোবিয়াকে মাত্র ফেরত পাঠিয়ে ভারী মনে হেটে বেরাচ্ছে। হটাৎ বিরাট এক ঝাকুনি খেয়ে সে নিচে পড়ে যায়৷ তার শরীর আগের মত হালকা লাগছে। একটু পর খেয়াল করে, হাতের দিকে তাকালে অপর দিকে সব দেখা যাচ্ছে, আগে এভাবে এ জগতে এসেছে, কিন্তু এবার কোন জগতে যাবে সে বুঝচ্ছে না। এমন সময় ক্রোনাস, গড অফ টাইম নিনোর সামনে এসে বলে - " হুম আপন জগতে চলে যাচ্ছ৷ ভালো, কেউ ওপার থেকে ডাকছে তোমায়। যাক, যেহেতু চলে যাচ্ছ, তাই শুনে রাখ। এখান থেকে গিয়ে তোমার বাসায় এই ঘড়িটা পাবে৷ ( এমন সময় একটা ঘাড়ি উড়ে এসে নিনোর সামনে হাজির। )  এই ঘড়ির উপরের বাটনে টিপ দিলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে৷ ভাবলাম অভিশাপ মুক্ত করে দি তোমরাই প্রথম যারা এ জগতে এসেছ তাই এবারের যাত্রায় ছেড়ে দিলাম।
নিনো - ধন্যবাদ। 
(বলা শেষ করতে না করতেই টেলিপোর্ট হয়ে যায় নিনো) 
টেলিপোর্ট করা শেষ। এখন তাদের শুধু খুলে দেখার অপেক্ষা।  সকলেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে, যে মানুষটি তাদের বাচিয়েছে তাকে দেখবার জন্য। যন্ত্রের মুখ খোলা মাত্রই নিনোকে দেখে সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে।  নিনোর শরীর খুবই দুর্বল হাটতে পারছে না ভালোভাবে৷ ডেলিসা এগিয়ে তাকে সাহায্য করে। সবায় নিনোকে " ওয়েলকাম ব্যাক " জানায়। তাকে নানা পরীক্ষা করায়। সব ঠিকঠাক ই আছে। সবশেষে তাকে অফিশিয়ালি ধন্যবাদ জানানো হয় তাদের সেদিন বাচনোর জন্য, আর টাইম ট্রাভেলে সাকসেস হবার জন্য কংগ্রেস জানানো হয়।
ডেলিসা নিনোকে বলে, " এত দিন তা খেয়ে কি ভাবে ছিলেন আপনি? "
নিনো- কই এত দিন৷ কিছুক্ষণ হল মাত্র। তবে আপনি আগের থেকে শুকিয়ে গেছেন।
ডেলিসা - কিচ্ছুক্ষণ না, ৩ মাস হয়ে গেছে আপনি এখানে ছিলেন না৷
নিনো - ৩ মাস! ওহ বুঝলাম, টাইমশিফট এর ফলে এইসব হয়েছে।
ডেলিসা - ওহ। আপনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।
নিনো - না৷ বাসায় যেতে হবে একটা জরুরি কাজ আছে।
.
এই বলে বেরিয়ে যায় নিনো। আজকে বেশি হাটার শক্তি নেই। অন্য বিজ্ঞানীরা তাকে রেস্ট নিতে বললেও শোনেনা সে। গাড়িতে চড়ে বসে নিনো।
.
বাসায় গিয়ে সেই ঘড়িটি খোজার কাজে লেগে যায় সে। বিছানার এক কোণে সেই ঘড়িটি দেখতে পায় নিনো। ঘড়িটি হাতে নিয়ে সুইচটি দেখে নিনো৷ অজানা কোনো এক ভাষায় কিছু একটা লিখা আছে৷ শ্বাস চেপে রেখে সুইচে চাপ দেয় সে৷ কি হবে কিছুই তার জানা নেই। ক্রোনাস বলেছিল সব ঠিক হয়ে যাবে৷ চাপ দেবার পর ঘড়িটি বাতাসে মিলিয়ে যায় চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসে। নিনোর মাথা ভোভো করে জ্ঞান হারায় সে৷ জ্ঞান ফিরে চোখ খুলতেই দেখে সে রেল লাইনের ওপর দাড়িয়ে। সামনে একটা ট্রেন আসছে এখনি তাকে হিট করবে,  রেলাইনের একপাশে লাফ দিয়ে নিজেকে বাঁচায় নিনো৷ কেউ তাকে অনেক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছে। মাটিতে পড়ে থেকেই ফোন ধরে সে৷ জেনোবিয়া ফোন দিচ্ছে, ড. মরিসের ল্যাব থেকে। রিসিভ করে সে৷
জেনোবিয়া - কোথায় তুমি?
নিনো - এইতো রেলওয়েতে।
জেনোবিয়া - এখনই বের হও ওখান থেকে। আর আমরা এখানে কেন? আর তুমি তো অন্য জগতে থাকার কথা।
নিনো - হুম৷ যাচ্ছি ৷ সমস্যা নেই আমার সব মনে আছে। বাড়ি আস। সব বলছি।
.
মাটি থেকে উঠতে ইচ্ছে হচ্ছে না তার। অনেক টায়ার্ড সে। অনেক খাটুনি হয়েছে তার। আবারও খাটতে হবে। কাল জেনোবিয়ার জন্ম দিন। আবার কাল মিটিং আছে, ডেলিসা নামের একটি মেয়ে আসবে। উল্কাবৃষ্টি দেখা বাকি।  আবার এর ৩ দিন পর টেররিস্ট আঘাত আনবে সেখান থেকে তার কলিগদের বাচাতে হবে। অনেক কাজ। উঠে দাঁড়ালো নিনো,  জেনোবিয়ার তোলা ছবিটা নিচে পড়ে থাকতে দেখে সে, হাটার সময় হাতে ধরেছিল। বেখেয়ালে হয়তো হাত থেকে পড়ে গেছে। ছবিটা তুলে নেয় সে। বাসায় গিয়ে দেখে জেনোবিয়া আগে থেকেই হাজির। সকল ঘটনা খুলে বলছে নিনো। আসলেই সব ঠিক হয়ে গেছে। আর এ জন্য গড অফ টাইম-কে মনে মনে ধন্যবাদ দেয় সে। ক্রোনাস হয়তো নিনোর ধন্যবাদ শুনতে পেরেছিলেন, তাই বড় আওয়াজে কিছুক্ষণ হাসতে থাকেন।
যত দূর জানা জায়,  নিনো আর জেনোবিয়া-ই ছিল প্রথমদিকের টাইম ট্রাভেলারস, এরা একবারই টাইম ট্রাভেল করেছিল, এর পর আর কখনো তারা টাইম ট্রাভেল নিয়ে কাজ করে নি।
.
 হয়তো এদের পরে আরো অনেকে সফল হয়েছে, যারা হয়তো আর ফিরে আসবেনা। হয়তো বা কেউ সফল হয়নি। হয়তো কেউই আর সফল হবে না।

( সমাপ্ত )
.
এটা আমার প্রথম গল্প বা সাই-ফাই ছিল৷ কেমন হল জানাবেন। কোনো ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আর সবাই কে জানাই ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
" ঈদ মোবারক "