লেপটিস মাগনা, লিবিয়া

লিবিয়া বিশ্ব মানচিত্রে সম্ভবত গাদ্দাফির সৈন্য বাহিনীর আবাসস্থল হিসেবে বেশি পরিচিতি পেয়েছে ২০১১ সালে লিবিয়ান সিভিল ওয়ারের সময়, কিন্তু খুব কম লোকই জানে যে, লিবিয়াতে আছে প্রাচীন স্থাপত্যের এক অত্যাশ্চর্য ধ্বংসস্তুপের সংগ্রহ। রোম বাদে, লেপটিস মাগনা হল স্থাপত্য এবং ইতিহাসপ্রেমীদের আরেক তীর্থস্থান স্বরূপ।
এই জায়গায় প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের এক নগরী ছিল সুতরাং এখানে যে বিখ্যাত এবং দর্শনীয় রোমান ধ্বংসস্তূপ পাওয়া যাবে তাতে আর আশ্চর্য কি!



মাউন্ট ওয়েদার ইমারজেন্সি অপারেশন্স সেন্টার, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র

যদি টপ সিক্রেট আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্যাসিলিটির কথা বলা হয়, তবে খুব কমই মাউন্ট ওয়েদার ইমারজেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ঘিরে থাকা রহস্যের সাথে তুলনায় যেতে পারবে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মিলিটারি বেসে জীবনধারণের জন্য এবং দীর্ঘসময় ধরে টিকে থাকার জন্য যে সব সরঞ্জামাদি দরকার তার সবই মজুদ আছে বলে ধারনা করা হয়। যারা এই ফ্যাসিলিটির ভিতরে কাজ করে, হাই র‍্যাংকিং অফিসিয়াল যারা কোন জাতীয় দুর্যোগের সময় সেখানে যাবার উপযুক্ত এবং যারা ফ্যাসিলিটিটা তৈরি করেছে একমাত্র তারাই জানে যে, এর অভ্যন্তরটা আসলে কিরকম(সেখানকার কমোড কি হাই, নাকি লো! কফি কি সবসময় ব্লাকই খেতে হয় নাকি হোয়াইটনারও মেশানো যায়, এইসব আরকি!!! হা হা হা )।
মাউন্ট ওয়েদার ইমারজেন্সি অপারেশন্স সেন্টার স্নায়ু যুদ্ধের সময় ১৯৫০ সালে তৈরি করা হয়। এখন পর্যন্ত এটা অপারেট করা হচ্ছে, “শেষ ভরসা” হিসেবে। এটার চার্জে আছে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি স্টাফ (FEMA)। ইতোমধ্যেই, যখন প্রয়োজন হয় বেশিরভাগ ইউ এস টেলিকমিউনিকেশন ট্র্যাফিক এই ফ্যাসিলিটি থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়, যাতে ইমার্জেন্সির সময় ভালভাবে অপারেট করা যায়।(এত ভয় কেন ওদের? সবকিছু আগে থেকে তৈরি। কিছু হলেই গাট্টি বোচকা নিয়ে ঢুকে পড়বে ইদুরের গর্তে!!)



গ্রুম লেক, নেভাডা

এই লেক রহস্যময় মাত্র এবং শুধুমাত্র একটা কারনেঃ এরিয়া ৫১। এই গোপন মিলিটারি বেসকে ঘিরে যত কন্সপিরেসি থিয়োরি, ডকুমেন্টারি, মুভি এবং একাডেমিক ডিবেট হয়েছে অর্ধ শতাব্দী ধরে, তা বিশ্বের অন্য কোন ফ্যাসিলিটি নিয়ে হয়েছে কিনা কে জানে! গ্রুম লেক নেভাডার দক্ষিন অংশে অবস্থিত, লাস ভেগাস থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে। ওখানে কি চলেছে বা চলছে তা এখন পর্যন্ত অজানা। বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল এয়ারক্রাফট এবং এডভান্স ওয়েপন্স সিস্টেম পরীক্ষা করা হয় বলে জানা যায় ওখানে। কিন্তু অনেক কন্সপিরেসি থিয়োরিষ্ট বলেন যে, এই ফ্যাসিলিটিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত এলিয়েন স্পেসশিপ আছে এবং সরকার এখানে কাটিং এজ ইউএফও রিসার্চ চালাচ্ছে(ভাবতে তো আমারই ভাল লাগছে!! থ্রিল বোধ করছি। আমি এলিয়েন অস্তিত্বে বিশ্বাসী)। আমরা হয়ত কোনদিনই কিছু জানতে পারব না এই জায়গা সম্পর্কে।
বিনামুল্যে সবাইকে একটা উপদেশ দান করি, খবরদার ভুলেও কেউ গ্রুম লেকের কাছাকাছি যাবেন না। কারন গার্ডদের আদেশ দেওয়া আছে কাউকে দেখামাত্র গুলি করার(shoot on sight)। (সেনসিটিভ আমেরিকান সরকার!!!! ভাবুন তো, ওখানে বড় মাথা-বাকা চোখের কোন এলিয়েন আমেরিকান আর্মির কোন চার তারকা জেনারেলের সাথে বসে হুইস্কি খাচ্ছে। আর সাথে চলছে নতুন ধরনের অস্ত্র বা ফাইটার বিমান বা উচ্চগতির মহাকাশযান নিয়ে আলোচনা। ইন্টারপ্ল্যানেটরি রিলেশনশিপ আর কি!! ফায়দা লুটছে আমেরিকা, আর কাউকে লুটতে দেবে না তাই এই গোপনীয়তা! মজা না? ভাই, আমরা আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নিয়ে আমাদের লাভ কি?)